NBCC LOGO
Bangla-Academy-Logo-2

বাংলা একাডেমি-মন্ট্রিয়ল’এর অমর একুশ উদযাপন

অপমানে তুমি জ্বলে উঠেছিলে

সেদিন বর্ণমালা
সেই থেকে শুরু দিন বদলের পালা।
স্বাধীনতা সে তো একুশের প্রেরণা
মূক্ত স্বদেশ সেতো একুশের জয়
একুশ তুমি মহান তুমি অমর
তুমি অম্লান-অয় দূর্জয়।

২১শে ফেব্র“য়ারি মহান ভাষা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। একুশ আমাদের অহংকার, একুশ আমাদের চলার পথের আলোকবর্তিকা। চেতনার প্রজ্বলিত এই দিনটি স্মরণ করে ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালবাসা জানাতে বাংলা একাডেমি মন্ট্রিয়ল রবিবার ৪১৯ সেন্ট রকে উদযাপন করলো ২৫শে ফেব্র“য়ারি ’১১।
বাংলা একাডেমি মন্ট্রিয়লের উদ্যোগে উদযাপিত হয় মন্ট্রিয়লের অন্যরকম এক ২১শে’র অনুষ্ঠান। যা ছিল সম্পূর্ণই নতুন প্রজন্মের, নতুন মানুষদের জন্য। একাVLUU L200  / Samsung L200ডেমির ক্ষুুদে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা তাদের কচি কন্ঠের গান, আবৃত্তি, ছবি আঁকা, বর্ণমালা আর শ্রদ্ধায় ভরে অনুষ্ঠান চত্বরকে পরিণত করেছিল ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর নবীন মেলায়। নতুনদের সঙ্গে ছিল বাবা-মা, পরিবার, বন্ধু- পরিজন।
অনুষ্টানের শুরু“তে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমি মন্ট্রিয়লের পরিচালক ও এন.বি.সি.সির সভাপতি মনির হোসেন। তিনি বলেন, সালাম, রফিক, বরকত, শফিউল্লাহ সহ নাম না জানা ভাষা শহীদদের প্রাণের বিনিময়ে এসেছে ২১ ফেব্র“য়ারী ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। শহীদদের এই মহান আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিবছর সমবেত হই। তবে এই পুরো চেতনার সাথে একাত্ম হওয়ার জন্য প্রয়োজন মাতৃভাষার ব্যবহার। বিশেষত প্রবাসী মা-বাবাদের জন্য অনেক বড় দায়িত্ব তাদের সন্তানকে বাংলা ভাষায় কথা বলানো, বাঙালী সংস্কৃতিকে ধারণ করা এবং এর সাথে পরিচয় করানো। নতুন প্রজন্মদের কাছে একুশের ইতিহাস এবং এর দায়িত্ব সম্পর্কে ছোটদের সচেতন করার কথা তুলে ধরেন। অভিবাবক সহ উপস্থিত অতিথিদের মন্তব্য উঠে আসে ইতিহাসের স্বর্থকতা সেখানেই যখন তা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে সঠিক ভাবে ধাবিত হয়। এবং সেখানেই বাংলা একাডেমির একুশের এই আয়োজনের স্বার্থকতা।
এই পর্বে অংশ গ্রহণ করে সামিহা, সাদিদ,মৌ, মেরী,মনিষা, মুনতাসির, লামিছা, মাইশা, রায়ান, রাহুল,।
উদাসীন হয়ে পড়েছে। অনেকের ভাবনা।। মাতৃভাষার পরিমণ্ডলের বাইরে বাংলাভাষার ব্যবহার বেশিদিন থাকবে না। তাদের জ্ঞাতার্থে বলতে চাই, আমরা ফ্রেঞ্চ এবং ইংরেজিভাষাকে আরো গ্রহণ করবো, তার মানে এই নয় যে বাংলাভাষাকে বাদ দিতে হবে। বরং ফ্রেঞ্চ এবং ইংরেজিভাষার জ্ঞান দিয়ে বাংলাভাষাকে সমৃদ্ধ করবো। আর তাতেই আসবে আমাদের সাফল্য।
আমরা পৃথিবীর যে মেরুতেই বসবাস করি না কেন নিজ অস্তিত্ব নিজস্ব সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখতে হলে, থাকতে হবে নিজের ভাষার প্রতি ভালবাসা। সন্তানদের বাংলা ভাষা শেখাতে হবে, উদ্বুদ্ধ করতে হবে। ঘরে বাংলায় সন্তানদের সাথে কথা বলা পারিবারিকভাবে এ দায়িত্ব বাবা-মায়ের। আর সামাজিক দায়িত্বের অংশ হিসেবে ন্যাশনাল বাংলাদেশী কানাডিয়ান কাউন্সিল বাংলা একাডেমির মাধ্যমে তা পালনের চেষ্টা করছে সর্বতোভাবে। তারই অংশ হিসেবে প্রতি বছর এই দিনটি পালনের আয়োজন করা


Bangla academy montreal & NBCC pays tributes to language martyrs

21st February: Bangla academy montreal and it's founding organization National Bangladeshi Canadian Council (NBCC) is observing the Amar Ekushey February, the International Mother Language Day, on 21st February Sunday at 419 st roch paying tributes to the language movement martyrs, who sacrificed their lives for the mother tongue 58 years ago.
Academies student, their parents and academies well wishers also came to observe the Language Martyrs' Day.

On this day in 1952, Salam, Barkat, Rafique, Jabbar and some other brave hearts laid down their lives for recognition of Bangla as an official language. The language movement was the forerunner of the nationalist movement that culminated in the Liberation War in 1971 and won the nation independence.
The government of the then Pakistan granted Bangla the status of official language in 1956.
In 2000, the United Nations Educational, Scientific and Cultural Organisation (UNESCO) declared 21 February as International Mother Language Day.


ভাষার জন্য কোনো জাতি রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে এমন ইতিহাস পৃথিবীতে বিরল। ভাষার জন্য বাঙালি জাতির এ মহান আত্মত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে ১৭ নভেম্বর ১৯৯৯ সালে আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউনেস্কো ২১ ফেব্র“য়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। ২০০০ সাল থেকে প্রতি বছর ২১ ফেব্র“য়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। এটা বাঙালি জাতির বিরাট এক অর্জন। ১৯৫২’র দারুন রক্তিম পুষ্পাঞ্জলী বুকে নিয়ে সগৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে ২১শে ফেব্র“য়ারি মহান ভাষা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। একুশ আমাদের অহংকার, একুশ আমাদের চলার পথের আলোকবর্তিকা। চেতনার প্রজ্বলিত এই দিনটি স্মরণ করে ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালবাসা জানাতে বাংলা একাডেমি মন্ট্রিয়ল রবিবার ৪১৯ সেন্ট রকে উদযাপন করলো ২১শে ফেব্র“য়ারি ’১০।

for-web
বাংলা একাডেমি মন্ট্রিয়লের উদ্যোগে উদযাপিত হয় মন্ট্রিয়লের অন্যরকম এক ২১শে’র অনুষ্ঠান। যা ছিল সম্পূর্ণই নতুন প্রজন্মের, নতুন মানুষদের জন্য। একাডেমির ক্ষুুদে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা তাদের কচি কন্ঠের গান, আবৃত্তি, অভিনয়, বক্তব্য, ছবি আঁকা, বর্ণমালা আর ফুলে ফুলে শহীদ মিনারকে ফুলেল শ্রদ্ধায় ভরে রাত ৯টা পর্যন্ত- অনুষ্ঠান চত্বরকে পরিণত করেছিল ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর নবীন মেলায়। নতুনদের সঙ্গে ছিল বাবা-মা, পরিবার, বন্ধু- পরিজন ও মন্ট্রিয়লের সন্মানী ব্যাক্তিবর্গ।

অনুষ্ঠানস্থল সাজানো হয়েছিল অন্যায় অবিচার ও শোষণের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে থাকা শহীদ মিনার, অর্ধনমিত জাতীয় পতাকা, একুশের বাণী সমৃদ্ধ পোষ্টার, বাংলা সাহিত্য ও ২১ এর না জানা বিভিন্ন তথ্য দিয়ে একাডেমির কো-অর্ডিনেটর নাজিয়া হোসেনের বানানো দেয়াল পত্রিকা, শিক্ষার্থীদের আঁকা শহীদ মিনার, গ্রাম বাংলার সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন চিত্রকর্মের প্রদর্শনী দিয়ে। ছিল সাদা ও কালো পোশাকের প্রাধান্য।
‘মহান একুশে অমর হোক’ পোষ্টার পেপারে স্বহস্তে- লেখা নিজ নিজ বর্ণমালা হাতে নিয়ে, ফুলের মালা আর গুচ্ছ গুচ্ছ ফুল নিয়ে খালি পায়ে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ গান গেয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ প্রভাত ফেরীতে অংশ নেয়। ফুলে ফুলে আর বর্ণমালায় ভরে উঠে শহীদ মিনার।
অনুষ্টানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমি মন্ট্রিয়লের পরিচালক ও এন.বি.সি.সির সভাপতি মনির হোসেন। তিনি বলেন, সালাম, রফিক, বরকত, শফিউল্লাহ সহ নাম না জানা ভাষা শহীদদের প্রাণের বিনিময়ে এসেছে ২১ ফেব্র“য়ারী ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। শহীদদের এই মহান আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিবছর আমরা ২১ তারিখে সমবেত হই। তবে এই পুরো চেতনার সাথে একাত্ম হওয়ার জন্য প্রয়োজন মাতৃভাষার ব্যবহার। বিশেষত প্রবাসী মা-বাবাদের জন্য অনেক বড় দায়িত্ব তাদের সন্তানকে বাংলা ভাষায় কথা বলানো, বাঙালী সংস্কৃতিকে ধারণ করা এবং এর সাথে পরিচয় করানো। নতুন প্রজন্মদের কাছে একুশের ইতিহাস এবং এর দায়িত্ব সম্পর্কে ছোটদের সচেতন করার কথা তুলে ধরেন অভিবাবক ও শুভাকাংখীদের মধ্যে , জিয়াউল হক জিয়া,সাখাওয়াত হোসেন,রনজিৎ মজুমদার, হাফিজুর রহমান, আলিম খান, শামসুল হক, নাঈম আশফাকউল্লাহ, হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী, আবুল কাশেম সোহেল । সকলেই তাদের বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ডে ভুয়সী প্রশংসা করেন এবং এর উত্তর উত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।
মৌসুমী নাথ এর কন্ঠে দেশের গানের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠানের মূল পর্ব। আয়োজনের উদ্দেশ্য তুলে ধরে একাডেমির শিক্ষিকা শামসাদ আরা রানা বলেন, অমর ভাষা শহীদরা নক্ষত্রপুঞ্জের মতো জ্বলজ্বলে পতাকা উড়িয়ে আছে আমাদের স্বত্তা। ২১ এর চেতনা হচ্ছে বাংলা ভাষা, তাই বাংলা ভাষা শেখার কোন বিকল্প নেই।
ছোট ছোট শিক্ষাত্রীদের বিষয় ভিত্তিক বলা এই পর্বটি ছিল বুদ্ধিদৃপ্ত ও আকর্ষনীয়।‘বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ’ শীর্ষক বিষয় ভিত্তিক বলার এই পর্বে শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের ইতিহাসের এক একটি অধ্যায় নিয়ে কথা বলে। এই পর্বে অংশ গ্রহণ করে রায়ান, ফাহিম হক প্রত্যয়, সাজিদ।
’কৃষ্ণচূড়ার নীচে যারা প্রান দিয়েছিল, আজ থেকে ৫৮ বছর আগে। তাঁদের হত্যাকারীদের ফাসির দাবী জানাতে একত্রিত হয়েছিল একাডেমির শিক্ষার্থীরা। দর্শকদের সামনে যেন টেনে এনেছিল স্মৃতি তাড়িত ফেব্র“য়ারির একুশ তারিখকে। ভিন্ন দেশে বেড়ে উঠা আমাদের ছোট মনিরা যেন ছিল সত্যিই রক্তের গৌরবে অভিসিক্ত, প্রতিজ্ঞায় অবিচল। ‘ আমরা এখানে কাঁদতে আসিনি ’ মাহবুব উল আলম চৌধুরীর একুশের প্রথম কবিতাটির সাথে সাথে ৫২‘র ২১ শে ফেব্র“য়ারির ঘটে যাওয়া ইতিহাসের একটি ছোট্ট অংশ তারা অভিনয়ের মাধ্যমে তুলে ধরে।
তাদের হাতে ‘১৪৪ ধারা মানিনা মানবো না’ লেখা সংবলিত প্লাকার্ড হাতে নিয়ে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ শ্লোগান দিয়ে ওরা যখন মঞ্চ প্রদক্ষিন করছিল, তখন উপস্থিত অভিভাবক এবং দর্শক শ্রোতারা ক্ষনিকের জন্য হলেও ইতিহাসের সেই দিনটিকে বাস্তবে দেখতে পেয়েছিল। মিছিলের এক পর্যায়ে গুলি বিদ্ধ হয়ে যখন কেউ কেউ মাটিতে পরে যায় ও অন্যরা প্লাকর্ড ফেলে বিভিন্ন দিকে পালিয়ে যায়, সে দৃশ্য দর্শকদের আবেগাপ্লুত করে তোলে। তাদের এই প্রয়াশ সকলেই কাছেই প্রশংসিত হয়। অভিবাবক সহ উপস্থিত দর্শকদের মন্তব্য উঠে আসে ইতিহাসের স্বর্থকতা সেখানেই যখন তা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে সঠিক ভাবে ধাবিত হয়। এবং সেখানেই বাংলা একাডেমির একুশের এই আয়োজনের স্বার্থকতা।
এই পর্বে অংশ গ্রহণ করে সামিহা, সাদিদ, প্রত্যয় মৌ, মেরী,তাসলিমা, তাকিব, আসিফ, সাজিদ, প্রত্যয়, রায়ান, আকাশ, রিফাত, লিমা, জেনী ও রিয়াদ। কবিতা আবৃত্তি করেন শামসাদ আরা রানা, ফারহানা নাজনীন নিশা । অনুষ্ঠানের পরিচালনা ও উপস্থাপনায় ছিলেন শামসাদ আরা রানা।
বিশ্বায়নের এই যুগে ইংরেজিভাষার প্রসার এবং এই কুইবেকে প্রদেশে ফ্রেঞ্চ ভাষায় দীক্ষিত আমাদের নতুন প্রজন্ম অনেকেই আজ বাংলাভাষার প্রতি উদাসীন হয়ে পড়েছে। অনেকের ভাবনা।। মাতৃভাষার পরিমণ্ডলের বাইরে বাংলাভাষার ব্যবহার বেশিদিন থাকবে না। তাদের জ্ঞাতার্থে বলতে চাই, আমরা ফ্রেঞ্চ এবং ইংরেজিভাষাকে আরো গ্রহণ করবো, তার মানে এই নয় যে বাংলাভাষাকে বাদ দিতে হবে। বরং ফ্রেঞ্চ এবং ইংরেজিভাষার জ্ঞান দিয়ে বাংলাভাষাকে সমৃদ্ধ করবো। আর তাতেই আসবে আমাদের সাফল্য।
আমরা পৃথিবীর যে মেরুতেই বসবাস করি না কেন নিজ অস্তিত্ব নিজস্ব সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখতে হলে, থাকতে হবে নিজের ভাষার প্রতি ভালবাসা। সন্তানদের বাংলা ভাষা শেখাতে হবে, উদ্বুদ্ধ করতে হবে। ঘরে বাংলায় সন্তানদের সাথে কথা বলা পারিবারিকভাবে এ দায়িত্ব বাবা-মায়ের। আর সামাজিক দায়িত্বের অংশ হিসেবে ন্যাশনাল বাংলাদেশী কানাডিয়ান কাউন্সিল বাংলা একাডেমির মাধ্যমে তা পালনের চেষ্টা করছে সর্বতোভাবে। তারই অংশ হিসেবে প্রতি বছর এই দিনটি পালনের আয়োজন করা হয়।
‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানটি পরিবেশন করেন আয়েশা পারভীন। এর পর মন্ট্রিয়লের জনপ্রিয় তরুন গায়ক এউ প্রজন্মের ভরাট গলার শিল্পী ঋক ভট্টাচার্র্য ‘সালাম সালাম’ গানটির অনবদ্য পরিবেশন সকলকে মুগ্ধ করে।
ুক্ষুদে আঁকিয়েদের প্রদর্শিত শিল্পকর্ম অতিথিদের মুগ্ধ করে। শেষে তাদের পুরস্কৃত করা হয়। সময়ের স্বাভাবিক নিয়মেই অনুষ্ঠান শেষ হয়। তবে অনুষ্ঠনের প্রস্তুতি পর্ব থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত যা হয়েছে তার কিছুটা হলেও নবীন প্রাণের চেতনায় আলোক বিন্দুর মতো জ্বলে থাকবে। আমাদের দায়িত্ব তাকে নিভিয়ে না দেওয়া।


বাংলা একাডেমি মন্ট্রিয়ল’র উদ্যোগে নববর্ষ ১৪১৭ উৎসব

স্মরনাতীত কাল থেকে এই বরেন্দ্র ভূমিতে, বাংলার সমতলের সোনালী মাটিতে আমাদের পূর্ব পুরুষেরা পালন করে আসছেন নববর্ষের লোকজ উৎসব। পহেলা বৈশাখ। বংশ পরস্পরায় ধারাবাহিকতায় তারা নববর্ষকে বরন করতেন হালখাতার শুভ সূচনায় মিষ্টি মুখের রসালো আমেজে। বটের ছায়ায় নদীর ধারে হাটে মাঠে বসাতেন বৈশাখী মেলা।
Pic-74
প্রত্যেক জাতিরই নিজস্ব কিছু উৎসব আছে, সেগুলো তাদের ঐতিহ্যের ধারন-বাহক। সেই উৎসবগুলোও আমরা পালন করি নিজেদের শাশ্বত চেতনাকে তুলে ধরতে। পহেলা বৈশাখ বাঙালীর জাতীয় জীবনে তেমনি একটি দিন। উৎসবমুখুর ঐতিহ্যবাহী দিন।

সেই উৎসব আমেজকে একান-ই ছোটদের মাঝে তুলে ধরতে মন্ট্রিয়লে আনন্দপ্রিয় বাঙালির প্রাণের উৎসবের মেলা পহেলা বৈশাখকে স্বাগত জানাতে মন্ট্রিয়লে বাংলা একাডেমি আয়োজনে পার্ক এক্সটেনশনে পুরাতন ইমিগ্রেশন ভবনে গত ২৬ই এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বাংলা নববর্ষ ১৪১৬ উদযাপন । বিভিন্ন রকমারি খাবার ইলিশ, পান্তা, খিচুড়ি, আর ঝাল ভর্তার আইটেম নিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকগণেরা। একাডেমির ছাত্র ছাত্রীরা যেমন খুশি সাজ পর্বে সেজেছিল বাংলার ঐতিহ্‌্য ও দেশীয় সাজে। বড়দের বৈশাখ সম্পর্কীয় প্রশ্ন পর্বে বিজয়ী নির্বাচিত পর্বটি ছিল আনন্দের। খুবই পরিচ্ছন্ন ঘরোয়া পরিবেশে দুপুর ২টা থেকে উৎসবপ্রিয় এবং ইলিশ, ভর্তা অভিভাবকগণেরা একে একে উপসি'ত হতে থাকেন উৎসব স'লে। প্রায় ৩০ ধরনের খাবার সামগ্রী উৎসবে পরিবেশন করা হয়। লোভনীয় সব খাবারের সামগ্রী সামনে রেখে অতিথিগণ বসে থাকেননি। বেশ দ্রুততার সাথে হৈ চৈ আর আনন্দ করে পরিবার পরিজনের সাথে অংশগ্রহন করেন।

Pic-25
অনুষ্ঠানটি পরিচালনায় ছিলেন একাডিেমির শিক্ষয়ত্রী শামসাদ আরা রানা এবং নাজিয়া হোসেন ও একাডেমির গানের শিক্ষয়ত্রী ডরিন গোমেজ। অনুষ্ঠানে আগত সকল অতিথি এবং সহযোগিতাকারীদের ধন্যবাদ জানান বাংলা একাডেমির পরিচালক ন্যাশন্যাল বাংলাদেশী-ক্যানেডিয়্যান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও জোর্নাল ঢাকা পোস্টের প্রধান সম্পাদক মনির হোসেন(বাবলু)।